মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ লেখিকা :মুশফিকা রহমান মৈথি


 “আর একবার আমার হবু শ্বশুরের সাথে বেয়াদবি করলে একেবারে পুলিশে দিব”


 নীলাদ্রির কন্ঠ হিম ধরানো। তার দৃষ্টি অত্যন্ত শীতল। হাতের আঙ্গুলগুলোয় ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু নীলাদ্রির ঠোঁটের কোনে বিচিত্র হাসি। যেনো তার অন্তর পৈশাচিক এক আনন্দে নিমজ্জিত হয়েছে। আকরাম সাহেব বেশ চমকে গেলেন। কারণ নীলাদ্রি ছেলেটাকে তার আলাভোলা লেগেছিলো। শান্তশিষ্ট, ঠান্ডা প্রকৃতির, কিঞ্চিত বলদও বটে। যে পৃথিবীর নিয়মকে ভিন্নভাবে দেখে, ভিন্নভাবে ব্যক্ত করে। অথচ ছেলেটার সেই রুপের আড়ালে যে এমন কোনো রুপ থাকবে সেটা তার প্রৌঢ় মস্তিষ বুঝতে পারে নি বোধ হয়। হতভম্ব স্বরে শুধালেন,

 “বাবা তুমি এখানে কি করছো?”


নীলাদ্রি তার দিকে তাকিয়ে বললেন,

 “আমি আমার শকুনতলাকে মর্নিং ওয়াক করাতে বেরিয়েছিলাম আংকেল। এর মধ্যেই দেখলাম এই ছেলেগুলো আপনার সাথে অভদ্রতা করছে। এরা কারা আংকেল?”


আকরাম সাহেব পাশে তাকাতেই ছোট একটি কুকুর দেখলেন। নেড়ি কুকুর আর পমেরিয়ানের মিশ্রণ কুকুরটি। আকার অত্যন্ত ছোট, লেজটা নেড়ি কুকুরের মত হলেও গায়ের পশম পুরো পমেরিয়ান। নীলাদ্রি আবার শুধালো,

 “ছেলেগুলো কে আংকেল?” 


 আকরাম সাহেব উত্তর দিতে পারলেন না। একটু লজ্জা করছে। এদিকে নীলাদ্রির আচারণের বিস্ময় এখনো কাটিয়ে উঠতে পারি নি মাটিতে পড়ে থাকা ছেলেটি। তার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হলো। নীলাদ্রির সগৌরব মুখশ্রীটা তার রগে রগে অগ্নিসংযোগ করছে। আশেপাশের সাঙ্গপাঙ্গগুলো ভ্যাবাছেকা খেল যেন। তাই তাকে টেনে তোলার কথাও তাদের মনে আসছে না। আশেপাশের অচেনা মানুষগুলো একটিবার হলেও পেছনে ফিরে দেখছে তাদের। সেই দৃষ্টিগুলোকে ছেলেটি হাতের উল্টোপাশ দিয়ে ঠোঁটে গলগলে রক্ত মুছলো। ঘুষিটা বেশ জোরেই লেগেছে। ঠোঁটটা কেটে গেছে। উঠে দাঁড়ালো সে, খুব অলস ভঙ্গিতে প্যান্টের ধুলো ঝাড়লো। তারপর নীলাদ্রির পোলো শার্টের কলারটা ঠিক করতে করতে বললো,

 “ভাইজান কি মুরুব্বির হবু জামাই নাকি? আমার সম্পর্কে বোধ হয় জানেন কম। যাক সমস্যা নেই, প্রথম ভুল তো সবাই ক্ষমা করে। কিন্তু এক ভুল বারবার করবেন না কিন্তু। আমি মানুষটা খুব ভালো নই”

 “কি করবে তুমি?”

 

ছেলেটি ঘাড় কাত করে আকরাম সাহেবের উদ্দেশ্যে বললো,

 “কি মুরুব্বি? জামাই দেখি কিছুই জানে”


আকরাম সাহেব অবস্থা দেখে ঘাবড়ালেন কিঞ্চিত। ছেলেটির চোখের ভাষাটি অস্বাভাবিক ঠেকলো যেন। ছেলেটি হিসহিসিয়ে বললো,

 “দেখুন জামাই মশাই। উত্তেজিত হবেন না। মুরুব্বি আর আমাদের ছোট একটা ডিল, ডিল না মানলে আপনার বউ আমার”


নীলাদ্রির চোখ মুখ কঠিন হয়ে গেলো। ছেলেটার কলার টেনে চোয়াল শক্ত করে বললো,

 “পিউকে নিয়ে বাজে কথা বললে থাপড়ে দাঁত ফেলে দিবো। কথা কানে যায় নি না? পুলিশ ফোন দিবো? ”


ছেলেটিও ছেড়ে দেবার পাত্র নয়। সাথে সাথে নীলাদ্রির গলা চেপে ধরলো, তীক্ষ্ণ কন্ঠে বললো,

 “বেশি কথা বলিস না জামাই, টুটি চাপতে এই মাহাবের সময় লাগবে না। চুপ আছি বলে লাফাস না”


কিন্তু নীলাদ্রির ভাবান্তর হলো না। আকরাম সাহেব অবস্থার বেগতিক দেখে কোনো মতে হন্তদন্ত হয়ে বললেন,

 “বাবা নীলাদ্রি, ছেড়ে দাও। ঝামেলা পাকিও না”


কোনোমতে ছাড়ালেন দুজনকে। মাহাব ছেলেটি রাগী স্বরে বললো,

 “মুরুব্বী, নিজের জামাইকে সামলে নিয়েন। এতো বাড়াও ভালো না। একটামাত্র মেয়ে, জামাইটাও তো হবু; বিয়ে হয় নি। সাবধান মুরুব্বি”


বলেই এক মুহূর্ত অপেক্ষা করলো না সে। দলবল নিয়ে প্রস্থান করলো তারা। আকরাম সাহেবের মুখখানা পাংশুটে বর্ণ ধারণ করলো। মেয়েকে নিয়ে চিন্তাটা দাপিয়ে উঠলো মস্তিষ্কজুড়ে। ধপ করে কাঠের বেঞ্চিতে বসলেন। তরতর করে ঘামছেন। পাশের এক ফেরিওয়ালা ছোকরার থেকে পনেরো টাকা দিয়ে একটা হাফ লিটার পানির বোতল কিনে আনলো নীলাদ্রি। আকরামের সাহেবের দিকে এগিয়ে দিল। আকরাম সাহেব এক নিঃশ্বাসে অর্ধেকটা পানি খেলেন। তারপর খানিকটা খেঁকিয়ে উঠলেন,

 “ওকে মারতে গেলো কেনো নীলাদ্রি? ওরা কেমন মানুষ জানো? সন্ত্রাসী সব কটা। কেনো ঝামেলা করতে গেলে?”

 “কারন তারা আপনার সাথে অভদ্রতা করছে”


স্পষ্ট, জড়তাহীন উত্তর। নীলাদ্রির উত্তরে ফোঁশ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন আকরাম সাহেব। সেদিনের আত্মসম্মানের দাপটে পর্বতের মতো অটল মানুষটাকে কেমন টলমলে লাগলো। হতাশ স্বরে বললেন,

 “মেয়ের বাবা আমি, কত চিন্তা জানো? আমাকে নিয়ে চিন্তা তো করি না। মেয়েটাকে নিয়েই চিন্তা। যদি কিছু হয়ে যায়? পুলিশে তো খবর দেওয়াই যায়। কিন্তু ছেলেগুলো ভালো না। সেদিন থানায় গেলাম দেখি খু’নির লিস্টে ছেলেটার নাম। এমন ছেলেদের আইনের ভয় দিবো কি করে? তুমি তাদের আরোও ক্ষেপিয়ে দিয়েছো। এখন আমার মেয়েটির উপর কু নজর দিলে কি করবো আমি?”


নীলাদ্রি তার হাতটা ধরে বললো,

 “আমি জানি আপনি আমাকে ভরসা করেন না, কিন্তু আংকেল আমি আপনাকে একটা প্রতিশ্রুতি দিতে পারি। আমি পিওকে আগলে রাখবো”

 

আকরাম সাহেবের চোখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেলো যেন। দৃষ্টি আরোও নরম হলো। নীলাদ্রি তার পাশেই বসে রইলো। সকালের রোদের তাপ বাড়লো। শুকুনতলা গুটি মেরে ঝিমাচ্ছে। নীলাদ্রি তার হবু শ্বশুরকে একটা ডিমটোস্ট কিনে দিল। হাতে দিয়ে বললো,

 “নিন, এবার চিন্তা ছেড়ে খেয়ে নিন। আমার একটু পর কোচিং আছে। আপনাকে বাড়ি পৌছে কোচিং এ যাব”

 “এই বয়সে কোচিং?”

 “সেদিন না বললেন পিউয়ের জামাই বিসিএস ক্যাডার হতে হবে”

 “তাই বলে তুমি সত্যি সত্যি বিসিএস দিবে?”

 “মিথ্যে মিথ্যে বিসিএস দেওয়া যায় বলে তো জানা ছিলো না”


আকরাম সাহেব আর কথা বললেন না। খাবারটা তড়িৎ গতিতে গলধঃকরণ করতে লাগলেন। অজানা কারণেই তার চোখ টলমল হলো। গড়িয়ে পড়লো অশ্রু কনা। বুকটা খুব ভার লাগছে। কিন্তু ব্যক্ত করলেন না। 


****


আড়াই হাজার টাকার মেকাপ তুলতে অভ্রের আড়াই ঘন্টার উপর লাগলো। ঠোঁট থেকে এখনো রক্তরস বের হচ্ছে। ব্যাথায় ঝুলে গেছে। নাড়াতে পারছে না। নীলাদ্রি যে অভিনয়ের নামে তার উপর কোনো সুপ্ত রাগ জাহির করেছে তাতে সন্দেহ নেই। কোন কুক্ষণে যে গুন্ডা সাজার নাটক করতে গিয়েছিলো। আজকের দুনিয়ায় ভালোমানুষীর দাম নেই। তরুনের ভাষায় “হিউম্যানিটি হুয়ার?”। তুলো চেপে রেখেছে অভ্র। পরচুলা খুলতেই ঘামে ভিজে চ্যাটচ্যাটে চুলগুলো কপালের উপর আছড়ে পড়লো। মেকাপ আর্টিস্টটাকে বিল্লাল সকাল সকাল ধরে এনেছিলো। এখন তাকে কড়কড়া পাঁচশত টাকার পাঁচটে নোট ধরিয়ে দিতে হবে। অভ্র হিসেব চুক্তা করে রওনা দিল তাদের ঠিক করা গন্তব্যে। ওখানে পিউ এবং ঐন্দ্রিলা অপেক্ষা করছে। নাটকের দর্শক অর্থাৎ আকরাম সাহেবের মনোবস্থা জানতে তারা উৎসুক হয়ে আছে। নাটকের শেষ পর্দা তোলা হবে আজ বিকেলে। শেষ হুমকি ফোনটা আজ রাতে করতে হবে। এতো কিছু করছে অথচ মারটাও খেতে হলো। অভ্র চাইলেই ঘুষির বদলে তিনটে চ’ড় বসিয়ে দিতে পারতো। কিন্তু তাতে বউ রাগ করতে পারে। তাই আগ্নেয়গিরি সমান রাগটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মত শান্ত করতে হলো। 


গন্তব্যে পৌছে ঐন্দ্রিলার কাছে যেতেই সে তার গাল ধরে বসলো। কন্ঠে উৎকুন্ঠা,

 “তোর ঠোঁটে কি হয়েছে?”


ঐন্দ্রিলার এমন আচারণে কিছুটা অবাক হলো অভ্র। তার জন্য মেয়েটি চিন্তিত। এমন দৃশ্য দেখবার জন্য হাজারবার মার খেতেও আফসোস নেই তার। অভ্র মেকি হতাশ স্বরে বললো,

 “কি হবে তোর ভাই মেরেছে!”


ঠিক তখন ই আগমন ঘটলো নীলাদ্রির। ঐন্দ্রিলা প্রায় তেড়ে গেলো নীলাদ্রির কাছে। রাগী স্বরে শুধালো,

 “তুমি অভ্রকে মেরেছো ভাই?”


ঐন্দ্রিলার এমন জেরায় হতচকিত হলো নীলাদ্রি। নিজেকে সামলে বললো,

 “নাটকের অংশ ছিলো। তোর বরই তো বলেছে সে গুন্ডার অভিনয় করবে আর আমি তাকে মারবো”

 “তাই বলে এতো ভয়ংকরভাবে? ওর ঠোঁট ফুলে গেছে”

 “যতই হোক নাটকেও একটা বাস্তবতা থাকতে হয়। ধরা পড়ে গেলে তো সব ই গেলো তাই না?”


আসলে কথাটা সত্য নয়। অভ্রকে প্রহার করার ইচ্ছে অনেক পূর্বের। কিন্তু নীলাদ্রি কখনো জোরপূর্বক পুরুষত্ব দেখায় না। অহেতুক তো কাউকে ঘুষি মারা যায় না। পৈশাচিক আনন্দও যদি বা মেলে সেটাও সামাজিক চোখে অপরাধ। তাই আজকের সুযোগটা হাতছাড়া করার ইচ্ছে ছিলো না। ঘুষিটা একটু জোরেই হয়ে গেলো। তাতে কি, অভ্রর বোঝা উচিত নীলাদ্রি দুর্বল কেউ নয়। সে সঠিক জায়গায় শক্তি প্রয়োগ করতে জানে। 


পিউ নীলাদ্রির পক্ষ নিলো। ঐন্দ্রিলাকে উল্টো বলল,

 “এখানে তো নীলাদ্রি ভাইয়ের দোষ নেই। তোর বরের পরিকল্পনাই সে বাস্তবায়ন করেছে”

 

ফলে ঐন্দ্রিলা আরোও চটে উঠলো। অবশেষে তাকে অভ্রর ঠান্ডা করতে হলো। মাথায় বুলিয়ে বললো,

 “থাক আমার ডলি বিন্দ্রা। আর ঝগড়া করিস না। চল, আইসক্রিম খাবি”

 

****


পৃথিবীতে আকস্মিক ঘটনাগুলো বিনা শোরগোলেই হয়, এই যেমন হুট করেই নীলাদ্রির বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো মজুমদার বাড়ির কেউ জানতে পারলো না। নাটকের শেষ পর্দা পড়ার অপেক্ষা করতে হলো না। আকরাম সাহেব নিজেই সা্লাম সাহেবের সাথে কথা বললেন। তার মেয়েকে সে নীলাদ্রির হাতে তুলে দিবেন। সালাম সাহেব বুঝে উঠতে পারলেন না হবু বেয়াইয়ের এমন মন পরিবর্তন হলো কি করে। অভ্র সংবাদ শুনে নীলাদ্রিকে ফোন করে বললো,

 “ভাইজান, ঘুষিটা তুলে রাখলাম। আপনার কখনো মেয়ে হলে কিন্তু সুদে আসলে শোধ নিব”


নীলাদ্রি ভৎসনা করে বললো,

 “আমি যদিও আকাশকুসুম চিন্তা করি না। যার উপর আমাদের হাত নেই সেই নিয়ে জল্পনাকল্পনা করা বোকার কাজ তবুও বলছি আমার মেয়ে হলে এমন ঘুষি আরোও চার পাঁচটে খাবে”

 “দেখা যাক”


*****


নীলাদ্রির আজ আকদ। তুলে নেওয়া হবে একমাস পর। পিউ এবং ঐন্দ্রিলার সামনের মাসে পরীক্ষা। তাই অনুষ্ঠান একমাস পড়েই হবে। মজুমদার ভবনে আজ উৎসবের মৌসুম। খাসির রেজালা রান্না হচ্ছে। সালাম সাহেবের ছাগলজোড়াকে ধার নেওয়া হয়েছে। শিক্ষিত ছাগল বলেই হয়তো স্বাদটা একটু বেশী। সকাল থেকে ঐন্দ্রিলার হয়েছে যত জ্বালা। বান্ধবীকে সাজানো থেকে শুরু করে সব কিছুই এক হাতেই করছে। ভাইয়ের ব্যাপারগুলোতেই তাকে টিপ্পনী কাটতে হচ্ছে। সকাল বেলায় নীলাদ্রি বাহানা করলো, সে পাঞ্জাবী পড়বে না। বিয়ে তো কবুল পড়াতেই শেষ, এতো সাজের কি আছে। ঐন্দ্রিলা একটুর জন্য তার মাথা ফাটায় নি। পিউকে তৈরি করে এসে যেই নিজে তৈরি হবে অমনি দেখলো অভ্র খাটে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। আহা! কি শান্তি! জামাই মানুষ। কাজ একটাই রান্নার দেখাশোনা। যা তার চ্যালাজোড়াই করছে। সে শুধু খাচ্ছে। রাগে গা জ্বললো ঐন্দ্রিলার। হিনহিনে স্বরে বললো,

 “বের হ, আমি জামা বদলাবো!"


ঐন্দ্রিলার স্বর শুনতেই চোখ তুলে চাইলো অভ্র। কিন্তু খুব একটা ভাবান্তর হলো না। ঐন্দ্রিলা আবারোও বললো,

 “কথা কানে যায় না? বের হ”

সময় ও তারিখ : ১৭/৯/২০২৪ বেলা ১২:৩০ 


আইডি :27506433

পাসওয়ার্ড :১১


অভ্র তখন নির্ভার গলায় বললো,

"ভাবটা এমন করছিস যেনো আমার অদেখা কিছু আছে, নেকুপিসি"


বলেই আবার চোখ বুঝলো। লজ্জায় মুখখানা লাল হয়ে গেলো ঐন্দ্রিলার। এই বেহালাজ পুরুষের চুল টেনে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে হলো। ঐন্দ্রিলা কঠিন স্বরে বলল,

 “বাজারে লজ্জার বড়ি পাওয়া গেলে আমি তোকে কিনে খাওয়াতাম”

 “তাহলে তুই ফকির হয়ে যেতি বাবু। ব্রেকিং নিউজ হত, স্বামীর জন্য লজ্জার বড়ি কিনতে কিনতে স্ত্রী দেউলিয়া”

 

বলেই উঠে বসলো অভ্র। ঐন্দ্রিলার হাত ধরে টেনে কোলে বসালো। মুখখানা গুজলো তার গলায়। নাক ঘষে আদুরে গলায় বললো,

 “তোর বরটা অনেক টায়ার্ড, একটু তো যত্ন করতে পারিস। একটু আদর করে বলতে পারিস, “চা খাবে?”

 “তারপর”

 “তারপর আর কি? আমি উত্তর দিবো “আমার তোমাকে প্রয়োজন। চায়ের ক্যাফেইনে আমার ক্লান্তি যাবে না””

  “কোথা থেকে ছাপিয়েছিস ডায়ালগ?”

 “আমার অরিজিনাল”

 “ইশ!”

 “সিনেমা থেকে”

 “ভাগ্যিস”


এর মাঝেই ডাক পড়লো অভ্রর। বিল্লাল চেচাচ্ছে,

 “এই পেয়াজ লাগবে অভ্র। তাড়াতাড়ি আয়”


অভ্র দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা ঠেকালো ঐন্দ্রিলার কাঁধে। ঐন্দ্রিলা হাসতে হাসতে বললো,

 “যা, ডাক পড়েছে”

 “তোর ভাইয়ের বিয়ের কামলা দেওয়ার জন্য আমার একটা আবদার আছে”

 “কি আবদার?”


অভ্র ফিঁচেল হাসলো। ঐন্দ্রিলার কানে মুখ লাগিয়ে বললো,

 “তুইতে মত্ত আরেকটি রাত”…………………

)



Comments

Popular posts from this blog

গল্পঃমন_রাঙানোর_পালা লেখক:ইয়াসমিন_খন্দকার সুহাসিনী

অভিশপ্ত গ্রাম লেখক__মোঃ__নিশাদ

গল্প:#হৃদয়_জুড়ে_প্রিয়শীর_আবাশ লেখক:#অদৃশ্য_লেখক