গল্প:#হৃদয়_জুড়ে_প্রিয়শীর_আবাশ লেখক:#অদৃশ্য_লেখক


আমি কিছুই বলছি না স্তব্ধ হয়ে বসে থেকে বোঝার চেষ্টা করছি ঠিক কি কি হচ্ছে আমার সাথে। রাজু বেশ কিছুক্ষণ আমায় জরিয়ে কান্না করার পর আমাকে ছেড়ে দিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলতে লাগলেন


-- তুমি জানো চাঁদপাখি আমি কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এই হয়তো তোমায় আমি হাড়িয়ে ফেললাম। ওরা হয়তো আমার কাছ থেকে তোমায় কেড়ে নিতে সফল হলো। 


আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদপাখি।  মনে হচ্ছিলো যেনো কেউ আমার আত্বাকে আমার থেকে আলাদা করে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। মরে যাচ্ছিলাম আমি দম বন্ধ হয়ে আসছিলো তুমি জানো তুমি আমার হৃদয় জুড়ে প্রিয়শীর আবাশ। 


এখন যদি তোমাকে আমি ফেরাতে না পারতাম তাহলে হয়তো সত্যিই আমি মরে যেতাম চাঁদপাখি। তুমি কেনো একি ভুল বার বার করো চাঁদপাখি, কেনো আমি বার বার বারন করা সত্যেও নিজের হাতের বালাটা খুলে ফেলো......? 


তোমার কোনো ধারনা আছে চাঁদপাখি আজকে যদি সময় মতো আমার ঘুম না ভাঙতো তাহলে কত বড় ক্ষতি হয়ে যেতো।  সব কিছু শেষ হয়ে যেতো। এতদিনের সব পরিশ্রম বৃথা যেতো সবার। আমি তোমায় চিরদিনের মতো হাড়িয়ে ফেলতাম চাঁদপাখি।  কি করে বাচতাম আমি তোমায় ছাড়া.....?


কথাগুলো বলেই রাজু আবারও শক্ত করে জরিয়ে ধরলেন আমায়। আর পাগলের মতো আমার কপালে গালে চোখে চুমো খেতে লাগলেন। যেনো আমায় কত সাধনার পর ফিরে পেয়েছেন উনি। ওনার এমন আচরনে আমি বলে উঠলাম


-- কারা নিয়ে যেতো আমায় রাজু....? আপনি নিজেই তো আমার হাতের বালাটা খুলতে বললেন নতুন বালা পড়াবেন বলে.....? তাহলে এখন এসব কি বলছেন আপনি রাজু....?


 আমি আপনার কথা কিছুই বুঝতে পাড়ছি না। কাদের এত দিনের পরিশ্রম বৃথা হয়ে যেতো রাজু....? প্লিজ রাজু আমায় সব সত্যিটা বলুন। কি হচ্ছে ইদানীং আমার সাথে।


 আপনি কেনো দুই রুপে দেখা দিচ্ছেন আমার সামনে। আমি কেনো বার বার স্বপ্নে কাক সাপ আর নিজেকে অন্য রুপে দেখতে পাচ্ছি..? এসবের পিছনের রহশ্য কি রাজু। প্লিজ রাজু সবটা বলুন আমায়....?


আমার কথা শুনে রাজুর মুখটা কেমন মেঘে ঢেকে গেলো। কি বলবে বুঝতে পারছে না ও।


রাজু আমার সামনে থেকে উঠে অন্য দিকে ঘুরে দাড়িয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। ওনার কান্নার শব্দটা যেনো আমার কলিজায় গিয়ে লাগছে। উনি কেনো এভাবে কাঁদছে কিছুই বুঝতে পারছি না আমি।


 কিন্তু আমার শরীর এতটাই ব্যাথা হয়ে আছে যে আমি চাইলেও ওনার কাছে উঠে গিয়ে ওনার চোখ মুছে দিতে পারছি না। তাই ওনাকে ডাকলাম আমি


-- রাজু প্লিজ আপনি এখানে আমার পাশে আসুন। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমি আপনার কাছে যেতে পারছি না। 


আমার কথা শুনে উনি চোখের জল মুছে আমার পাশে এসে বসলেন। তারপর আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,,,,,


-- চাঁদপাখি  তুমি এখন আমায় যে প্রশ্নগুলো করেছো সেটার উত্তর আমি তোমায় চাইলেও দিতে পারবো না। কারন তোমায় সব সত্যিটা বলে দিলে তোমার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। 


তোমাকে হয়তো হাড়িয়ে ফেলবো আমি। প্লিজ চাঁদপাখি  তুমি আমায় একটু দয়া করো। একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করো সময় এলে সব কিছু জানতে পারবে তুমি। 


রাজুর কথা শুনে যেনো প্রশ্নের উত্তরগুলো জানার আগ্রহ আরো বেশি জেকে বসলো আমার মনে। কি এমন কথা যা আমি জানলে আমার বড় কোনো ক্ষতি হবে। আমি রাজুর দিকে তাকিয়ে বললাম,,,


-- সেই সময়টা কবে আসবে রাজু...? আমি জানতে চাই আমার সাথে কেনো এমন হচ্ছে। কেনোই বা আপনারা আমাকে নিয়ে এতটা সিরিয়াস আর এতটা ভয় পাচ্ছেন। আমার এমন আজব স্বপ্নেরই বা মানে কি....?


-- সব কিছু জানবে তুমি চাঁদপাখি শুধু তোমার বিশ বছর পুর্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করো। তারপর তুমি নিজে নিজেই সব জেনে যাবে। আর তখন তোমার কোনো ক্ষতি হওয়ার ভয়ও থাকবে না। এতদিন প্লিজ একটু ধৈর্য ধরো চাঁদপাখি।


ওনার কথা শুনে আমি আর কিছু বললাম নয়। মুখটাকে মলিন করে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। এমনিতেও আমার শরীরটা ভিষন খারাপ লাগছে। তারপর পারি দিলাম গভির ঘুমের রাজ্যে।

,

,

,

পরের দিন সকালে ঘুম ভেঙে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম আমি। আমার আশেপাশে রাজু বা কেউ নাই। আমি আস্তে করে উঠে বসলাম। এখন শরীরে একটুও ব্যাথা নেই, নিজেকে একদম সুস্থ মনে হচ্ছে আমার। 


কানে ভেসে আসছে রাজু আর আব্বুর কন্ঠ। ওনারা আমায় নিয়ে কিছু একটা আলোচনা করছে।  আমি বিছানা ছেড়ে নেমে ধির পায়ে দরজার কাছে এগিয়ে গেলাম। তারপর কান পাতলাম আব্বু আর রাজু কি বলছে তা শোনার জন্যে।  রাজু আব্বুকে বলছে


-- আব্বু, চাঁদের ঘুম ভাঙলেই আমি ওকে নিয়ে সকালেই আমার বাড়িতে ফিরে যাবো। কারন এই বাড়িটা আর ওর জন্যে সেইভ না। 


-- হুমম আমিও তোমায় এটাই বলতে চাইছিলাম রাজু। আমিও বুঝতে পারছি মেহের এখন তোমার বাসাতেই এখানের চাইতে বেশি সেইভ এ থাকবে। তাই আমি আর তোমায় বাধা দিবো না।


 তুমি মেহেরকে নিয়ে বাসায় ফিরে যাও। কারন ওর বিশ বছর পুর্ন হতে আর মাত্র তিন দিন বাকি আছে। আর এই তিন দিন ওর ওপর অনেক বার আক্রমণ হতে পারে। তাই মেহেরকে এখন যতটা সম্ভব সেইভ মতো রাখা দরকার। 


আব্বুর কথা শুনে আমি আব্বু আর রাজুর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম তারপর বললাম,,,


--- কারা আমার ওপর আক্রমণ করবে আব্বু। আপনি কাদের কথা বলছেন....?


আমার কথা শুনে আব্বু আর রাজু দুজনেই চমকে উঠলো। তারা যেনো এই মুহুর্তে আমাকে এখানে আশা করেনি। আব্বু আমতা আমতা করে বললেন,,,,


-- মে মেহের তু তুমি উঠে পড়েছো মামনি...? এখন তোমার শরীর কেমন লাগছে...?


-- আমি আলহামদুলিল্লাহ ঠিক আছি আব্বু। কিন্তু আপনি বলুন আপনারা এতক্ষণ আমায় নিয়ে কি এত আলোচোনা করছিলেন। অথচ আমায় কেনো কিছু জানাচ্ছেন না....? 


আমার কথা শুনে আব্বু কিছু বলার আগেই রাজু বলে উঠলেন,,,


-- আব্বু আপনি যান, আমি চাঁদকে বোঝাচ্ছি।


রাজুর কথা শুনে আব্বু যেনো হাফ ছেড়ে বাচলেন। তারাতারি সেখান থেকে চলে গেলেন। আব্বু যেতেই রাজু আমার পাশে এগিয়ে এসে বললেন,,,,


-- আমরা একটু পরেই বাসায় ফিরে যাবো চাঁদপাখি।  আব্বুর সাথে সেই আলোচোনাই করছিলাম এতক্ষণ।  চলো চাঁদপাখি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিবে। আর দয়া করে কোনো প্রশ্ন কোরো না প্লিজ। 


আমরা যা করছি তোমার ভালোর জন্যেই করছি চাঁদপাখি। তাই একটু বিশ্বাস রাখো আমাদের ওপর।


ওনার কথা শুনে আমি আর কিছু বললাম না। কেনো জানি ওনার কথাটা বিশ্বাস করতে মন চাইছে। তাই ওনার কথা মতো ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম। তারপর সকালের নাস্তা শেষ করে আব্বু আম্মুর থেকে বিদায় নিয়ে ওনার সাথে বাসার পথে রওনা হলাম। 

,

,

,

বিকেলে দাদিমা আমায় তার সাথে তার রুমে নিয়ে গেলেন। আব্বুর ওখান থেকে আসার পরেই আমায় অনেক আদর করেন উনি বুকে জরিয়ে। তারপর সারাটাদিন দাদিমা আর অন্তরার সাথে গল্প করেই কেটেছে আমার।


 বিকেলে অন্তরা আমি আর দাদিমা বসে গল্প করছিলাম রাজু সকালে আমায় রেখে কোথায় যেনো গিয়েছেন।  তাই রাজু বাসায় নেই আর আমারও সময় কাটছে দাদিমা আর অন্তরার সাথে। 


দাদিমা আমার হাত ধরে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসিয়ে রেখে আলমারি থেকে একটা বক্স বের করে এনে আমার সামনে বসলেন। তারপর সেই বক্সটা থেকে এক জোড়া অসাধারন সুন্দর ব্রেসলেট আর গলার নেকলেস আর বড় বড় একজোড়া ঝুমকা বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন


-- মেহের এগুলো সব তোমার জন্যে।  আমি আমার খোকার বউকে দিবো বলে অনেক যত্ন করে রেখেছিলাম। সেদিন দিবো দিবো করেও আর দেওয়া হয়নি। কিন্তু আজকে এগুলো তোমায় দিলাম। তোমার দাদিমার তরফ থেকে তোমার জন্যে এটা উপহার বলতে পারো। 


দাদিমার কথা শুনে মুচকি হেসে জিনিসগুলো নিয়ে আমি বললাম


-- দাদিমা সেদিন ছাদে যে ব্রেসলেট গুলো আমায় দিতে চাইছিলেন। সেগুলো দিবেন না আমায়...? আর সেদিন না দিয়েই কোথায় চলে গিয়েছিলেন দাদিমা, আর সেদিন আপনি আমায় মেহের না ডেকে মুচকান বলে ডেকে ছিলেনই বা কেনো....?


আমার কথা শুনে ভয় বাসা বাধলো দাদিমার মুখে। দাদিমা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলেন।


-- মেহের তুমি এখনো অনেক ছোট, তোমার সব প্রশ্নের উত্তরই তুমি পাবে তবে তোমাকে তার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে সোনা। আর একটা কথা কি জানো তো আমরা কখনো কখনো যা দেখি তা সত্যি নাও হতে পারে। আবার যেটা দেখিনা সেটা থাকতেও পারে। তাই নিজের মনকে শান্ত রাখো মেহের। তুমি সব জানতে পারবে শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। 


দাদিমার কথার  কোনো মানেই বুঝতে পারলাম না আমি। তবে দাদিমাকে আবারও প্রশ্ন করাটা কেমন জানি ব্যয়াদবি মনে হলো। তাই আমি আর কিছু বললাম না দাদিমাকে। না বলে গহনা গুলো নিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। 


তারপর গয়না গুলো নেড়েচেড়ে দেখে সব গুলো পড়ে নিলাম। কেনো জানিনা গয়নাগুলো পড়ার পর খুব আনন্দ লাগছে মনের মাঝে। আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। ইশশ গহনাগুলোতে কি কিউট দেখতে লাগছে আমায়। হঠাৎ আয়নার দিকে চোখ আটকে গেলো আমার।


 আমার চোখের মনিটা কেমন হালকা নীলচে হয়ে গেছে। কিন্তু আমার চোখের মনিতো নীল রঙের ছিলো না। তাহলে এখন নীল রঙের কেনো লাগছে।আমি আয়নায় ভালো করে নিজের চোখ দুটোকে দেখতে লাগলাম। আয়নায় নিজেকে কেমন অচেনা লাগছে আজ। চোখের রঙটাই তার কারন। হঠাৎ হাতের দিকে লক্ষ করে দেখলাম। আমার হাতে থাকা রাজুর দেওয়া বালাটা জ্বলছে। 


এটা দেখেই চমকে উঠলাম আমি। কারন এই বালাটা দুইবারই জ্বলেছিলো যখন যখন আমার সাথে অদ্ভুত ঘটনাগুলো ঘটেছিলো। আমি যখন এসব ভাবনায় ব্যাস্ত তখনি আমার পেছন থেকে অন্তরা আমায় ডেকে বললো


-- ভাবি আপনার সাথে আমার একটু কথা ছিলো।


অন্তরার কথা শুনে পিছনে ঘুরে তাকালাম আমি। আর দেখলাম আমার চাইতে কিছুটা দুরে অন্তরা দাড়িয়ে আছে। কিন্তু অন্তরার কথা শুনে বেশ খটকা লাগলো আমার। কারন অন্তরা তো আমায় তুমি করে কথা বলে।


 তাহলে ও এখন আমায় আপনি বলে ডাকছে কেনো। কথাটা ভাবতেই ওর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম আমি। আমাকে এগিয়ে যেতে দেখে অন্তরা পিছিয়ে গিয়ে বললো


-- ভাবি ওখানেই দাড়ান আর আমার কাছে আসবেন না।  আপনার সাথে কথা আছে আমার। আমার কাছে আসার আগে আপনার হাতের বলাটা খুলুন ভাবি।


-- কেনো অন্তরা, আমি তোমার কাছে এলে সমস্যা কি। আর তুমি আমার থেকে দুরে কেনো যাচ্ছো...?


কথাটা বলতে বলতেই আমি ইচ্ছা করেই খপ করে অন্তরার হাতটা ধরে ফেললাম। সাথে সাথে অন্তরা পুরো রুমটা কাপিয়ে মরন চিৎকার দিতে লাগলো। আর আমার হাতে থাকা বালাটা থেকে অনেক বেশি চোখ ধাঁধানো আলোক রশ্নি ছড়াতে লাগলো। 


আমি অবাক হয়ে একবার অন্তরাকে আর একবার হাতের বালাটাকে দেখছি। দেখতে দেখতে অন্তরা আমার হাতের মাঝেই পুড়ে ছাই হয়ে নিচে পরে গেলো। আর সাথে সাথে আমার হাতের বালাটার আলোক রশ্নিও বন্ধ হয়ে গেলো। 


আইডি এবং পাসওয়ার্ড ::36203273   ১১

সময় এবং তারিখ :: ০৯:৩০ পিএম

২০-৯-২৪




আমি অবাক হয়ে বোঝার চেষ্টা করছি কি হলো এটা। আর তখনি দাদিমা অন্তরা আর রাজু দৌড়ে এলো আমার রুমে আমার সামনে। তারপর উত্তেজিত হয়ে রাজু বললো,,,,


-- চাঁদপাখি তুমি ঠিক আছো তো। ওরা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি তো....?


আমার রাজুর কথার দিকে কোনো গুরুত্ব নেই। আমি অন্তরার দিকে তাকিয়ে আছি। কারন আসল অন্তরা আমার সামনেই দাড়িয়ে আছে। তাহলে ওটা কে ছিলো যে এখন ভশ্ম হয়ে নিচে পরে আছে....? 


রাজু আমায় পাগলের মতো প্রশ্ন করে যাচ্ছে। আমি সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টা প্রশ্ন করে বসলাম


-- অন্তরা যদি ওখানে দাড়িয়ে থাকে তাহলে এখানে কে ছিলো রাজু...? আর আমি তাকে স্পর্শ করায় সে পুড়ে ছাই হয়েই বা গেলো কেনো....? আসলে কে আমি....? আমার চোখের মনির রংটাই বা কেনো দিন দিন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে....?  


আজকে আমি সব কিছুর উত্তর চাই রাজু। তাতে যা খুশি হোক আমার কোনো আফসোস নাই। আজকে আপনাকে সব কথার উত্তর দিতেই হবে আমায়।


আজকে আমি সব কিছুর উত্তর চাই রাজু। তাতে যা খুশি হোক আমার কোনো আফসোস নাই। আজকে আপনাকে সব কথার উত্তর দিতেই হবে আমায়।


আমাকে এমন উত্তেজিত হতে দেখে দাদিমা আমার কাছে এগিয়ে এসে বললেন


-- মেহের তুমি শান্ত হও সোনা। এমন পাগলামি করোনা তুমি, সময় এলে সব কিছু জানতে পারবে তুমি। এখন একটু ধৈর্য ধরো সোনা। আমরা তোমার ভালোর জন্যেই এমন করছি।


চলবে............

Comments

Popular posts from this blog

গল্পঃমন_রাঙানোর_পালা লেখক:ইয়াসমিন_খন্দকার সুহাসিনী

অভিশপ্ত গ্রাম লেখক__মোঃ__নিশাদ