অভিশপ্ত গ্রাম লেখক__মোঃ__নিশাদ



 কবিরাজ জ্বীন দুটোকে মেরে ফেলার আগে সেই জ্বিন দুটো কবিরাজ ও গ্রামের সবার  কাছে মাফ চান, জ্বীন দুটো কবিরাজকে বলেন, কবিরাজ তুই ও গ্রামবাসী যা বলবি সব শুনবো আমাদের ছেড়ে দে মেরে ফেলিস না। 

_____কিন্তু কবিরাজ রেগে থাকায় সেই জ্বীন দুটোকে মেরে ফেলে। 

 জ্বীন দুটোকে মেরে ফেলার পর, কবিরাজ সবার উদ্দেশ্য করে বলে, আমার মনে হয়  এই বাড়িতে গুপ্তধন আছে, নাহিদ, নিশাদ ও জান্নাত ওরা যে দেখেছিলো পুকুর থেকে একটা জ্বীন একটা কলস নিয়ে উপরে উঠছে আসছিলো আসলে ঐ কলসে আছে সব গুপ্তধন, সোনার মোহর আমি দেখি চেষ্টা করে কিছু বুঝতে পারি কিনা সেই সোনায় ভরা কলসটা কোথায় আপনারাও খুঁজুন কেউ না কেউ পাবোই। 

 কবিরাজের কথায় সোনার মোহর পাবার লোভে গ্রামের সবাই যে ভূতুড়ে বাড়ির যে যেখানে পারে খুঁজতে লাগলেন। কেউবা বাড়ির দেয়ায় ভেঙে কেউবা মাটি খুড়ে খুজতে লাগলেন সেই সোনার মোহর। 

 এভাবে বেশ কিছুক্ষন খোঁজাখুজির পর সবাই যখন ব্যার্থ হলেন তখন কবিরাজ বললেন। আপনারা সবাই আসুন আমার মনে হয় এই বাড়িতে ঐ সোনার মোহর ভরা কলসটা নেই, এটা আছে এই পুকুরে৷ হয়তো পুকুরের মাঝখানে মাটির নিচে এটা থাকতে পারে। আপনারা সবাই একটা কাজ করুন, এই পুকুরটা ছেচ করার ব্যাবস্তা করেন৷ পুকুরের সব পানি ছেচ করে ফালাই দিলে তখন পুকুরের মাঝ খানে খুঁজে দেখতে হবে। তাছাড়া সব পানি ছেচ করলে মাছ গুলাও ধরা জাবে। 

 কবিরাজের কথায় কিছুক্ষনের মধ্যে  গ্রামের সবাই মিলে দুই তিন ঘন্টার চেষ্টায় পুকুর ছেচ করতে সক্ষম হন৷ পুকুরে সব পানি ছেচ করার পর পুকুরে যে মাছ ছিলো সেটা গ্রামের সবাই যে যা পারছে ধরে নিছে। 

বাকি রইলো সোনার মোহর ভরা কলস। 
পুকুরের সব পানি ছেচ করে মাছ ধরার পর কবিরাজ পুকুরের মাঝখানে গিয়ে কি কি জানি বিরবির করে বলতে থাকে, এভাবে বেশ কিছুক্ষন চলার পর কবিরাজ বলে এখন এই জায়গাটা খুঁড়ে দেখো, কবিরাজের কথায় সেই জায়গাটা খুঁড়তেই বেড়িয়ে আসে সোনার মোহর ভরা কলস। 

কলসটা পাবার পর সেটার ভিতরে থাকা সোনার মোহর গুলা কারাকারি করে যে যতটা পারছে নিয়ে নিছে, বিষয়টা তখন দেখলেও খারাপ লাগছিলো, জ্বীন হলেও কিন্তু  এগুলা ওদের সম্পদ জ্বীনের সম্পদ এভাবে লুট করে নেয়ার পরিনাম যে কি হয় সেটা বুঝতে পারবেন সামনে

যাইহোক, 
সোনার মোহর, ও পুকুরের মাছ এগুলা সবাই পাবার পর আনন্দে সেখান থেকে গ্রামের সবাই ফিরে আসলেন সবার নিজ বাড়িতে। 

 সবাই গ্রামে ফেরার পর সেই রাতে সবার সাথে ঘটে এক আজব ঘটনা। ভূতুড়ে পুকুর থেকে সবাই যে মাছ ধরে নিয়ে আসছিলো সেই মাছ রান্না করার পর গন্ধে কেউ খেতে পারেনি, প্রথমে সবাই ভাবতো তাদেরি সাথে মনে হয় এরকম ঘটনা ঘটছে কিন্তু যখন আস্তে আস্তে সবার জানাজানি হলো তখন সবাই একি কথাই বললো। সবাই বললো গন্ধে মাছ গুলো খেতে পারেনি। 

 ঘটনাটা এখানেই থেমে থাকলে হতো। 

এই ঘটনার পরেরদিন রাত থেকে সবার সাথে শুরু হয় এক ভয়ংকর ঘটনা।  সবাই ভয়ংকর স্বপ্ন দেখতে থাকে। সবাই দেখে দুজন ভয়ংকর অবয়ব এসে বলছে, আমাদের বুক খালি করার জন্য তোদের অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে।  দে আমাদের সম্পদ আমাদের ফিরিয়ে দে, বাঁচবিনা তোরা কেউ বাঁচবিনা।

এমন অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে,  সবাই একে অপরকে বলাবলি করে, সবাই সবাইকে বলে জানতে পারে, একি রকম স্বপ্ন সবাই দেখে 

এভাবে একরাত দুরাত তিনরাত কেটে যায়। সবাই একি স্বপ্ন রোজ রাতে দেখতে থাকে। কিন্তু এভাবে তো থাকা সম্ভব না।  

তাই তিনদিন পর সবাই আবার এক জায়গায় জড়ো হলেন। সবাই এক সাথে জড় হয়ে সেই জালাল কবিরাজকে ডেকে এনে সব ঘটনা খুলে বললেন। 

সবার মুখে কথাগুলো শুনে জালাল কবিরাজ জানান তার নিজের সাথেও এই ঘটনা ঘটছে৷ কবিরাজ বলেন, আমিও রোজ রোজ তোমাদের মত স্বপ্ন দেখি।

কবিরাজের কথায় গ্রামের একজন বলেন, এই ঘটনার মানে কি সবাই একি রকম স্বপ্ন দেখে কেনো, আর ঐ পুকুরের মাছ গুলোই বা গন্ধে খাওয়া যায়নি কেনো। 


 লোকটার কথার জবাবে কবিরাজ বলেন। ওটা ভূতুড়ে পুকুর সে জন্য, ঐ পুকুরটা সেখানে থাকা জ্বীনেরা কন্ট্রোলে রেখেছে বছরের পর বছর হলো সে জন্য। 

আর রইলো স্বপ্নের কথা আমার মনে হয় আপনাদের কথায় আমি যে ঐ জ্বীন দুটোকে মেরে ফেলছি সেই জ্বীন দুটোর মা বাবা। 

ওরা হয়তো সবাইকে স্বপ্নে ভয় দেখাচ্ছে, সবাই একি রকম ভয়ংকর স্বপ্ন দেখছে। 

এখন আমাকে ঐ জ্বীন দুটোর মা বাবাকে মানে যাঁরা সবাইকে স্বপ্নে ভয় দেখাচ্ছে, তাঁদেরকে হাজির করে কথা বলতে হবে। আপনারা আমাকে কিছু জিনিস এনে দেন। আর একটা যুবগ ছেলেকে দেন আমি ঐ ছেলের উপর সেই জ্বীনকে হাজির করাবো। 


কবিরাজের কথামত সব করা হলো। একটা ছেলে ও সাহস করে এগিয়ে আসলো। 

তখন কবিরাজ মাটিতে গোল বৃত্ত একে সেখানে সেই ছেলেটিকে বসিয়ে, বিরবির করে কি কি জানি পড়তে লাগলেন। 


সময় ও তারিখ 14-9-24

 আইডি 20620185

পাসওয়ার্ড 11




এভাবে বেশ কিছুক্ষন মন্ত্র পড়ার পর হঠাৎ সেই গোল বৃত্তের মধ্যে ছেলেটার শরীল ঝাকুনি দিয়ে সেই জ্বীন এসে হাজির হলেন। 

তারপর ______
Next_____

Comments

Popular posts from this blog

গল্পঃমন_রাঙানোর_পালা লেখক:ইয়াসমিন_খন্দকার সুহাসিনী

গল্প:#হৃদয়_জুড়ে_প্রিয়শীর_আবাশ লেখক:#অদৃশ্য_লেখক