Posts

গল্প:#হৃদয়_জুড়ে_প্রিয়শীর_আবাশ লেখক:#অদৃশ্য_লেখক

আমি কিছুই বলছি না স্তব্ধ হয়ে বসে থেকে বোঝার চেষ্টা করছি ঠিক কি কি হচ্ছে আমার সাথে। রাজু বেশ কিছুক্ষণ আমায় জরিয়ে কান্না করার পর আমাকে ছেড়ে দিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলতে লাগলেন -- তুমি জানো চাঁদপাখি আমি কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এই হয়তো তোমায় আমি হাড়িয়ে ফেললাম। ওরা হয়তো আমার কাছ থেকে তোমায় কেড়ে নিতে সফল হলো।  আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদপাখি।  মনে হচ্ছিলো যেনো কেউ আমার আত্বাকে আমার থেকে আলাদা করে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। মরে যাচ্ছিলাম আমি দম বন্ধ হয়ে আসছিলো তুমি জানো তুমি আমার হৃদয় জুড়ে প্রিয়শীর আবাশ।  এখন যদি তোমাকে আমি ফেরাতে না পারতাম তাহলে হয়তো সত্যিই আমি মরে যেতাম চাঁদপাখি। তুমি কেনো একি ভুল বার বার করো চাঁদপাখি, কেনো আমি বার বার বারন করা সত্যেও নিজের হাতের বালাটা খুলে ফেলো......?  তোমার কোনো ধারনা আছে চাঁদপাখি আজকে যদি সময় মতো আমার ঘুম না ভাঙতো তাহলে কত বড় ক্ষতি হয়ে যেতো।  সব কিছু শেষ হয়ে যেতো। এতদিনের সব পরিশ্রম বৃথা যেতো সবার। আমি তোমায় চিরদিনের মতো হাড়িয়ে ফেলতাম চাঁদপাখি।  কি করে বাচতাম আমি তোমায় ছাড়া.....? কথাগুলো বলেই রাজু আবারও শক্ত করে জরিয়...

গল্পঃমন_রাঙানোর_পালা লেখক:ইয়াসমিন_খন্দকার সুহাসিনী

আরাফাত অহনার বাসর রাত আজ। দুজনকে একসাথে একটি রুমে এসে বসানো হয়েছে। অহনা অনবরত কেঁদে চলেছে৷ আরাফাত কিছুক্ষণ চুপ থাকলেও একসময় বিরক্ত হয়ে বলল,"এভাবে কাঁদছ কেন তুমি? কান্না করার মতো কিছু তো হয়নি!" অহনা কিছুটা থেমে বলে,"আমার জন্য আপনার মায়ের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেল। এসবকিছুর জন্য আমি দায়ী!" আরাফাত একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,"নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করো। যাই হয়েছে সেখান তোমার কোন ফল্ট নেই। মায়ের বোঝার ভুল ছিল এবং সে মানুষের কথায় প্রভাবিত হয়ে একটু বেশিই করে ফেলেছে। তবে আমি জানি, মা বেশিদিন এভাবে রাগ করে থাকতে পারবেন না। এক না এক সময় ঠিকই আমাদের মেনে নেবেন। তাই তুমিও আর মন খারাপ করে থেকো না। বরং চলো, আমরা আমাদের বাসর রাত ইনজয় করি।" আরাফাতের কথায় এবার বুঝি অহনা একটু লজ্জা পেল। লজ্জায় একদম মিইয়ে যেতে চাইল। কিন্তু আরাফাত তাকে সেই সুযোগ না দিয়ে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। অহনার গালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলল,"আজকের রাতটা আমাদের জীবনের সবথেকে বিশেষ রাত হতে চলেছে। তোমাকে কিন্তু একদমই ঘুমাতে দিব না।" অহনা লজ্জায় মুখ লুকানোর চেষ্টা করে। আরাফাত অহনার মুখ তুলে...

গল্পঃমন_রাঙানোর_পালা লেখক :ইয়াসমিন_খন্দকার সুহাসিনী

অহনা একটু স্বাভাবিক হতেই সবাই তার দিকে প্রশ্নের বাণ ছুঁড়তে থাকে। শফিক ইসলাম বলেন,"আমরা তো সবাই সিসিটিভিতে দেখলাম, তোমাকে কে বা কারা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। তুমি কি জানো কারা তারা?" অহনা একটু ভেবে বলে,"আমার তেমন কিছু মনে নেই। যতদূর মনে পড়ে, আমি ঘরে বসে বিয়ের জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। সেসময় রুমে আমি ছাড়া কেউ ছিল না। এমন সময় আমি একটা আওয়াজ শুনতে পাই,আমার রুমের জানালা থেকে। ওদিকে তাকাতেই দেখি জানালা বেয়ে কে বা কারা নেমে আসছে। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমার মুখে কিছু একটা স্প্রে করে। তারপর আর আমার কিছু মনে নেই।" "তুমি কি তাদের মুখ দেখতে পাওনি?" "না, তাদের সকলের মুখে মাস্ক ছিল। তাই তাদের চিনতে পারিনি।" অভিক বলে ওঠে,"ড্যাম ইট। এরা সব পরিকল্পনা করেই এসেছিল। যেই গাড়িটা সাথে নিয়ে এসেছিল তার নাম্বারপ্লেটও ঢেকে রাখা ছিল৷ তাই ক্যামেরায় সেটা ধরা পড়েনি।" সুনীতি সকলের উদ্দ্যেশ্যে বলে,"এসব নিয়ে এখন আর ভেবে কি হবে? সবথেকে বড় কথা হলো যে, অহনার কিছু হয়নি। ও একদম সেইফ আছে। আমাদের কাছে এটাই তো জরুরি, তাইনা?" অভিক বলে,"তবুও তো আমাদের জানা উচিৎ যে কে বা...

ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড লেখক :সারিকা_হোসাইন

------- বেলা  কতো হয়েছে সেটা ঠাহর করাও যেনো বেশ দুষ্কর হয়ে পড়েছে এই নরক তুল্য জঘন্য বাড়ী টিতে।চারপাশে ভ্যাপসা গরম,উটকো বিশ্রী গন্ধ সেই সাথে আলো আর  বাতাসের নেই কোনো অস্তিত্ব।থেকে থেকেই অদ্ভুত দুই একটা পোকা মাকড় গায়ে এসে কামড়ে চলে যাচ্ছে।সেই কামড়ে কখনো শরীর চুলকে ঘা হয়ে যাবার উপক্রম হচ্ছে আবার কখনো বা বিষাক্ত কামড়ে ব্যাথায় শরীর অসাড় হয়ে যাচ্ছে।এদিকে সাইবেরিয়ান হাসকি কুকুরটির কথা না বললেই নয়।সতর্ক চতুর  বিশ্বস্তু পাহাড়াদারের ন্যায় হিংস্র সবুজ চোখে প্রত্যেকটি বন্দি অপরাধীর কক্ষের সামনে পায়চারি করে চলেছে সমানে।কিন্তু শেরহামের কক্ষের সামনে এসেই কুকুরটি ভয়ানক স্বরে ডেকে উঠছে কিছুক্ষণ বাদে বাদেই।একদিকে চারপাশের মানুষের আহাজারি আরেক দিকে কুকুরটির  বিদঘুটে সুর দুই মিলে শেরহামের মাথা পাগল করে তুললো আরো দ্বিগুন হারে।কুকুরের দিকে তাকিয়ে শেরহাম ভয়ঙ্কর দৃষ্টি দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো "এখান থেকে তো আমি নিশ্চিত রূপেই বের হয়ে যাবো।কিন্তু যাবার আগে তোর র*ক্ত খেতে মোটেও ভুলবো না" কুকুরটি কি বুঝলো কে জানে শেরহামের দিকে তাকিয়ে আরো বিশ্রী ভাবে দাঁত বের করে খেঁকিয়ে উঠলো। নিজের উপর নিজেই রা...

গল্প :লেখাঃ তাসকিনা❤️

 আমার ১২ বছরের মেয়ে তুলি, আমারি সামনে কাজের মেয়ে রাখির গায়ে হাত তুললো.. ব্যাপার টা আমায় কিছু মুহুর্তের মধ্যেই রাগিয়ে তুললো।। তুলির কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে বললাম, এটা কি করলা তুলি??(আমি) ও আমার জুস আনতে দেরি করলো কেনো মামনি??(তুলি) জুস আনতে দেরি করছে জন্য তুমি রাখির গায়ে হাত তুললে?? (আমি) হুম।  আমি টিভিতে দেখেছি, কাজের মেয়ে কাজ ঠিক করে না করলে মারতে হয়...(তুলি) তুলির কথা শুনে আমি তাজ্জব হয়ে যায়। মেয়েটা আমার অতি মাত্রায় সিরিয়াল দেখে। ব্যাপার টা আমার ভাল্লাগতো না। কিন্তু তবুও ওর খুশির জন্য ওকে সিরিয়াল দেখতে দিতাম। কিন্তু এখন তো দেখছি, সন থেকে বড় ভুল টা করে ফেলেছি।।। আর এটুকু বুঝতে পারলাম,  সিরিয়াল গুলোর বাজে প্রভাব তুলিকে গ্রাস করেছে। আমি নীল কে ডিস লাইন নিতে বারণ করেছিলাম শুরুতেই। কিন্তু মেয়ের জেদের কাছে হেরে গিয়ে নীল বাসায় ডিস লাইনের লাইন টা লাগিয়েই নেয়... রাখির বয়স ১৮ বছর। বাবা মা নেই। এক দাদিমা আছে যে ওকে মানুষ করছে। দাদিমার এখন আর কাজ করে খাওয়ানোর মতো অবস্থা নেই জন্য রাখি সকলের দোঁড়ে দোঁড়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলো একটা কাজের জন্য।  আমার ঘরের সামনে এসেও রাখি একই কথা বলেছিলো। আর...

মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ লেখিকা :মুশফিকা রহমান মৈথি

 “আর একবার আমার হবু শ্বশুরের সাথে বেয়াদবি করলে একেবারে পুলিশে দিব”  নীলাদ্রির কন্ঠ হিম ধরানো। তার দৃষ্টি অত্যন্ত শীতল। হাতের আঙ্গুলগুলোয় ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু নীলাদ্রির ঠোঁটের কোনে বিচিত্র হাসি। যেনো তার অন্তর পৈশাচিক এক আনন্দে নিমজ্জিত হয়েছে। আকরাম সাহেব বেশ চমকে গেলেন। কারণ নীলাদ্রি ছেলেটাকে তার আলাভোলা লেগেছিলো। শান্তশিষ্ট, ঠান্ডা প্রকৃতির, কিঞ্চিত বলদও বটে। যে পৃথিবীর নিয়মকে ভিন্নভাবে দেখে, ভিন্নভাবে ব্যক্ত করে। অথচ ছেলেটার সেই রুপের আড়ালে যে এমন কোনো রুপ থাকবে সেটা তার প্রৌঢ় মস্তিষ বুঝতে পারে নি বোধ হয়। হতভম্ব স্বরে শুধালেন,  “বাবা তুমি এখানে কি করছো?” নীলাদ্রি তার দিকে তাকিয়ে বললেন,  “আমি আমার শকুনতলাকে মর্নিং ওয়াক করাতে বেরিয়েছিলাম আংকেল। এর মধ্যেই দেখলাম এই ছেলেগুলো আপনার সাথে অভদ্রতা করছে। এরা কারা আংকেল?” আকরাম সাহেব পাশে তাকাতেই ছোট একটি কুকুর দেখলেন। নেড়ি কুকুর আর পমেরিয়ানের মিশ্রণ কুকুরটি। আকার অত্যন্ত ছোট, লেজটা নেড়ি কুকুরের মত হলেও গায়ের পশম পুরো পমেরিয়ান। নীলাদ্রি আবার শুধালো,  “ছেলেগুলো কে আংকেল?”   আকরাম সাহেব উত্তর দিতে পারলেন ...

অনুভবে_তুমি লেখিকা :মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

আমি ভয়ে পার্সেল টা আর খুললাম না। কে জানে কি আছে এতে? যদি আবার বো,ম হয়? বাসার কাউকে কি বলবো? না,না আগেই বলা যাবে না। এমনও তো হতে পারে ভুল করে এসেছে। থাক রেখে দেই। এই ভেবে পার্সেল টা আলমারির মধ্যে রেখে দিলাম। কিন্তু সারাদিন এই টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। রাতে কিছুতেই দুচোখের পাতা এক করতে পারছিলাম না। কি আছে এই বক্সে? কে পাঠিয়েছে? রাতে অনেক কষ্টে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু ভয়ানক একটা স্বপ্ন দেখে মাঝরাতে ঘুম ভেংগে গেলো। আমি এক লাফে বিছানা থেকে উঠলাম। গলা শুকে একদম কাঠ হয়ে গেছে। সেজন্য পানি খাওয়ার জন্য বিছানা থেকে নামলাম। কিন্তু আমার আর কিচেনে যাওয়ার সাহস হলো না। কেমন যেনো ভয় ভয় লাগছে। সেজন্য দৌঁড়ে আবার বিছানায় চলে এলাম। আর কম্বল মুড়ি দিয়ে আবার শুয়ে পড়লাম। সেদিনের ঘটনার পর থেকে একটুতেই ভয় পাই। আগের চেয়ে অনেক দূর্বল হয়ে গেছি। পরের দিন আম্মুর সাথে ভার্সিটিতে যাচ্ছিলাম। কারন ভাইয়া আজ ভীষণ ব্যস্ত আছে। বাসা থেকে বের হতেই পাশের বাসার আন্টি এগিয়ে আসলো। তার হাতে ছিলো সেই পার্সেল টা। যেটা আমি ভয় পেয়ে কাল ফেলে দিয়েছিলায়াম। আন্টির হাতে পার্সেল টা দেখামাত্র জিহবায় একটা কামড় দিলাম। কি করে ভুলটা করলাম? প...